আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে বৈধ ভাবে বিদেশে কাজে যেতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই বিএমইটি থেকে BMET স্মার্ট কার্ড নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, বিএমইটি স্মার্ট কার্ড কি, কারা পাবেন, কিভাবে পাবেন। আমাদের অনেক প্রবাসী শ্রমিক এ বিষয়ে জানেন না, বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। আবার যারা বিদেশ যেতে চান তারাও এই প্রশ্ন করেন। আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি পড়ুন, এ বিষয়ে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
BMET স্মার্ট কার্ড কি?
BMET এর পূর্ণরূপ (BUREAU OF MANPOWER EMPLOYMENT AND TRAINING)। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এটি BMET-এর বাংলা নাম। এই জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে সমস্ত কারিগরি বিষয় বস্তু আছে যেমন, কোন রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স দেওয়া, তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা, বন্ধ করা, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা, বিদেশগ্রামী কর্মীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, তাদের প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেট প্রদান, সারা বাংলাদেশের ৪২ টি টিটিসি সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা, সবশেষে বিদেশ যাওয়ার জন্য যে অনুমতি পত্র স্মার্ট কার্ড তা প্রদান করা।
অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে যদি কোনো কর্মী বৈধভাবে বিদেশে যেতে চান তবে তাকে এই জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে অনুমতি পত্র নিয়ে তারপরে যেতে হবে। এই অনুমতি পত্রই হল স্মার্ট কার্ড।
BMET স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবেন?
এখন যারা টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই যাচ্ছেন তারা এই স্মার্ট কার্ড পাবেন না। কারণ দুবাইয়ের সাথে বাংলাদেশের কর্মী ভিসার কোন চুক্তি নাই। তাই অনেকে কর্মী ভিসায় না যেতে পেরে টুরিস্ট ভিসায় গিয়ে কর্মী ভিসায় রূপান্তরিত হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের বড় বড় কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি বৈধভাবে কর্মীদেরকে দুবাই পাঠাচ্ছেন।
তারা কি করছেন এবং কিভাবে করছেন?
তারা যেটি করছেন তা হল তারা দুবাইয়ের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ডিমান্ড লেটার বা অফার লেটার নিয়ে আসছেন। মনে করেন প্রবাসী কণ্ঠ দুবাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে ১০০ জন কর্মী লাগবে। এই ১০০ জন কর্মীর ডিমান্ড লেটার বা চাহিদা পত্র নিয়ে আসছেন বাংলাদেশের বড় কোন রিক্রুটিং এজেন্সি। তারপর তারা এই অফার লেটার যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ অনুমতি নিচ্ছেন। অনুমতি নেওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে যারা কর্মী হিসেবে দুবাই যেতে চান রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের মাঝে সমন্বয় করছেন। অর্থাৎ তাদেরকে ভিসা দিচ্ছেন।
তখন সেই কর্মীকে পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র সহ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে তিনদিনের একটি ট্রেনিং করে সার্টিফিকেট নিতে হবে।
তারপর সেই কর্মী যখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট জমা দিবেন। তখন সেখানে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে। এই সমস্ত কাজ শেষ করার পর সেই কর্মী বিএমইটি থেকে একটি স্মার্ট কার্ড বা অনুমতি পত্র পাবেন। যার ফলে তিনি বৈধভাবে বিদেশ যেতে পারবেন।
বৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার সুবিধা কি?
যখন কোনো কর্মী বৈধভাবে বিদেশ যাবেন তখন তার নাম সরকারি খাতায় লেখা থাকবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ডাটাবেজে তার নাম থাকবে। ভবিষ্যতে যদি তিনি কোন প্রকার বিপদে পড়েন, কোন সমস্যা হয় বা মারা যান তাহলে বাংলাদেশ সরকার তার দায়িত্ব নিবেন। এমনকি বিদেশে মারা গেলে তার লাশ দেশে নিয়ে আসা, পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া ও তার পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেবেন। এই নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।
বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের ভিডিও। আমি আশা করছি আপনি সমস্ত বিষয় বুঝতে পেরেছেন। যদি কোন কিছু না বুঝে থাকেন বা আপনার মনে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করুন।
I need BMET Card.