কোন শ্রমিক বিদেশে মারা গেলে অনেক পরিবার অর্থের অভাবে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারে না। মৃত প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে ফেরত আনা, বকেয়া ও ক্ষতি পূরণ আদায় এবং আর্থিক সহায়তার সরকারি সেবা চালু হয়েছে। আপনি যদি এই সার্ভিসটি গ্রহণ করেন তবে সরকার আপনার সেই মৃত প্রবাসী শ্রমিকের দেহটি দেশে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে। শুধু তাই নয়, সরকার সেই মৃত ব্যক্তির বেতন ও বেতনের পাশাপাশি প্রবাসী শ্রমিকের সমস্ত বকেয়া আদায়ের ব্যবস্থা করবেন। মৃত প্রবাসী শ্রমিকের পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তাও সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। মৃত প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে ফেরত আনা ও বকেয়া আদায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।
বাংলাদেশের কোন শ্রমিক প্রবাসে মারা গেলে বাংলাদেশ সরকার কি কি সুবিধা দেবে?
সেবার সুবিধা:
১. মৃত প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসা হয়।
২. মৃত শ্রমিকের বকেয়া বেতন, অন্যান্য পাওনা ও ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
৩. মৃত শ্রমিকের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়।
এই সেবা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া:
বিদেশে কাজ করার সময় যদি কোন শ্রমিক মারা যায় তবে তার নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠান এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশী দূতাবাসে খবর দেবেন। দূতাবাস খবর পাবার পরে মৃতের পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাবেন। দূতাবাস লাশ বাড়িতে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও, নিয়োগকারী প্রবাসী সেই প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং মৃত প্রবাসী কর্মীর লাশ দেশে ফেরত আনা ও বকেয়া আদায় এবং নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তির শর্তাদির অধীনে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার পদক্ষেপ নেবেন এবং পাওনা টাকা মৃতের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবেন।
এই সেবা প্রাপ্তির যোগ্যতা:
বৈধ ভাবে প্রবাসে যাওয়া ও অবস্থানরত বাংলাদেশী শ্রমিক হতে হবে।
সেবা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. হসপিটালের কাগজপত্র
২. পাসপোর্ট, ভিসা, কাজের চুক্তি পত্রের ফটোকপি
৩. এয়ার ওয়েজ ডকুমেন্ট এর ফটোকপি
৪. মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশনামা/চেয়ারম্যান/নোটারিপাবলিক/ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রত্যায়িত হলফ নামা ইত্যাদি
৫. তদন্ত প্রতিবেদন (প্রযোজ্যক্ষেত্রে)/দূতাবাসের লিখিত মতামত
সেবা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় খরচ:
বাংলাদেশ সরকার এই সেবা বিনামূল্যে প্রদান করে।
সেবা প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় সময়:
লাশ দেশে ফেরত আনার ক্ষেত্রে ৩-১০ দিন এবং
ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ০৬ মাস।
কোথায় কাজ শুরু হবে?
আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নের অফিস সমুহে কাজ শুরু হবে:
১. জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সদরদপ্তর
২. জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিএমও)
৩. বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সমূহ
আবেদনের সময়:
যে কোন সময় আবেদন করতে পারবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে কে?
১. মহাপরিচালক
২. পরিচালক (কল্যাণ)
৩. উপ-পরিচালক (কল্যাণ)
৪. সহকারী পরিচালক (কল্যাণ)
সেবা না পেলে আপনি কার কাছে যাবেন?
মহা-পরিচালক,
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণব্যুরো (বিএমইটি)
আপনি চাইলে ভিডিও টি দেখতে পারেন । ভিডিও টি তে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা আছেঃ
এই সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন।